গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রশাসন বিভাগের অধীনে খুব সম্প্রতি সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এটি মূলত পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। আজকে আমরা আমাদের নিচের পোষ্টটিতে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আগে প্রকাশিত হয়ছিল। এক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি টির মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। যার ফলশ্রুতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধিত রূপে প্রকাশ করা হয় । উক্ত সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট।আমরা আমাদের পোষ্টটিতে বিভিন্ন পদের নাম, গ্রেড, পদসংখ্যা, বেতন স্কেল শিক্ষাগত যোগ্যতা, অনন্য কি কি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন প্রত্যেকটি পদের জন্য, তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি কোন কোন জেলা থেকে আবেদনের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেবো।
আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রতিনিয়ত আপলোড করে আসছি। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখে আসতে পারবেন। তাই আমরা বলব আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন এবং আমাদের আর কোনো আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের কে ফলো করুন। তাছাড়া আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কিভাবে আবেদন ফর্ম সম্পন্ন করতে হয় এবং কোন প্রক্রিয়ায় আবেদন ফি জমা প্রদান করতে হয় এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোনো পদে একজন প্রার্থীকে আবেদনের ক্ষেত্রে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রশাসন ভবনে থেকে তাদের নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে- আগামী 28 আগস্ট ২০২৪ তারিখ বিকেল পাঁচটার পর থেকে ডাক যোগাযোগের মাধ্যমে অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে আবেদন পূর্ণ করে জমা প্রদান করতে হবে।
আবেদন জমাদানের শেষ সময় হচ্ছে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উক্ত সময়ের মধ্যে একজন আবেদনকারী কে তার আবেদন জমা দিতে হবে। অন্যথায় কোনভাবে প্রাপ্ত আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। শ্রম ও কর্মসংস্থান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মধ্যে পাঁচটি পদের জন্য নিয়োগ প্রকাশ করা হয়েছে। পদ গুলো হচ্ছে- সাঁটমুদ্রাক্ষরিক -কম্পিউটার অপারেটর, ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক ।
উক্ত পদ গুলো জন্য আলাদা আলাদা পদের সংখ্যা রয়েছে এবং রয়েছে আলাদা আলাদা নতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। শ্রম ও কর্মসংস্থান এর 5 টি পদের জন্য কোন প্রার্থীকে আবেদনের জন্য অবশ্যই তার ন্যূনতম বয়স 18 বছর থেকে সর্বোচ্চ বয়সসীমা 30 বছর পর্যন্ত হতে হবে। অন্যথায় তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অর্থাৎ পুত্র ও কন্যার ক্ষেত্রে দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাদের বয়স 18 বছর থেকে 32 বছর পর্যন্ত হতে পারবে।
বিভিন্ন পদের নাম, গ্রেড, বেতন স্কেল, শিক্ষাগত যোগ্যতা
সাঁটমুদ্রাক্ষরিক -কম্পিউটার অপারেটর
সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কম্পিউটার অপারেটর পদের বেতন স্কেল 11 হাজার টাকা থেকে 26 হাজার 590 টাকা পর্যন্ত। পদটির গ্রেড হচ্ছে 15 তম। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক -কম্পিউটার অপারেটর এর জন্য দুইজন প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের বয়স 30 বছর । প্রার্থীকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি পাশাপাশি কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কম্পিউটারের ওয়ার্ড প্রসেসিং এর ইমেইল অফিস পরিচালনার দক্ষতা থাকতে হবে। মুদ্রাক্ষরিক এর গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে সর্বনিম্ন 30 শব্দ থাকতে হবে।
ক্যাশিয়ার
ক্যাশিয়ার পদের গ্রেড হচ্ছে 14 তম ।এর বয়স সীমা 30 বছর এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য 32 বছর পর্যন্ত। ক্যাশিয়ার পদের গ্রেড বেতন স্কেল 10200 টাকা থেকে 24680 টাকা। এর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাণিজ্য বিভাগের উপর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং এর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সার্টিফিকেটসহ।
অফিস সহকারী–কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
উক্ত পদটির বেতন স্কেল 9300 টাকা থেকে সর্বোচ্চ 22490 টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বেতনের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য দেখা যাবে অর্থাৎ অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন বৃদ্ধি করা হবে। এর জন্য পদের সংখ্যা 2 টি। কোন প্রার্থী যদি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং তার পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং এর পরিচালনায় দক্ষতা থাকে, তবেই প্রার্থীগণ এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অফিস সহায়ক
অফিস সহায়ক পদে বেতন স্কেল 8250 টাকা থেকে শুরু করে 22 হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর গ্রেড হচ্ছে ১৭। অফিস সহায়ক পদের জন্য 6 জন প্রার্থীকে নির্বাচন করা হবে। অফিসারটি নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে কোন বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অর্থাৎ এসএসসি পাস হতে হবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন করার নিয়ম
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে তাদের নিজস্ব অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আবেদন পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হল www.mole.gov.bd। উক্ত ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করার মাধ্যমে প্রার্থীগণ আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ করার 72 ঘণ্টার মধ্যে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। অন্যথায় আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে না।
আবেদন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
একজন প্রার্থীকে আবেদন ফরম পূরণ করে পরবর্তী 72 ঘণ্টার মধ্যে আবেদন ফি জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না, এক্ষেত্রে এক দুই ও তিন নাম্বার পদের জন্য 100 টাকা এবং 4 ও 5 নং পদের জন্য 50 টাকা অফেরৎযোগ্য ট্রেজারি চালান বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে মূলকপি আবেদনপত্র সংযুক্ত করে দিতে হবে। উক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড এর ক্ষেত্রে প্রার্থীগণ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীগণের নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। প্রথমে পরবর্তীতে তাতে প্রবেশ পত্র গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন । প্রবেশপত্র অবশ্যই রঙ্গিন প্রিন্ট হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
আবেদনকারী সাথে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র থাকা আবশ্যক। এক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আবেদনকারী প্রত্যেকটি একাডেমিক সনদপত্রের মূল কাগজ ও মূল কপি সাথে রাখা লাগবে। পাশাপাশি একসেপ্ট ফটোকপি থাকতে হবে।
সে গুলো ফার্স্ট ক্লাস গেজেট প্রাপ্ত অফিসার দিয়ে সত্যায়িত করিয়ে নিতে হবে এবং 4 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে থাকতে হবে। প্রার্থী যদি কোন ইউনিয়ন পরিষদের এলাকা ভিত্তিক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অর্থাৎ পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট প্রমাণস্বরূপ সাথে আনতে হবে।
কোন প্রকার বেআইনী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হলে প্রার্থীর আবেদন কিরা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হবে। তাই এই ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার আরও বিস্তারিত ধারণা পেতে চাইলে, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করেছি।
Leave a Reply